Advertisement


মহেশখালীতে স্বঘোষিত প্যানেল চেয়ারম্যান যুবলীগ নেতা সালামত সিকদার ও সচিব রশিদের দুর্নীতি -ইউএনও ও বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ


বার্তা পরিবেশক।।
কক্সবাজার জেলার মহেশখালী উপজেলার কুতুবজোম ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মোহাম্মদ রশিদের ষড়যন্ত্রে নাগরিক সেবাপ্রার্থীদের দুর্ভোগ। সচিবের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।

এ বিষয়ে, ২৩ শে ফেব্রুয়ারি (শনিবার) ৮নং কুতুবজোম ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মোঃ সেখাব উদ্দিন মাসুম, প্যানেল চেয়ারম্যান-২ লাল জহর বেগম, ৩নং ওয়ার্ডের মেম্বার শামশুল ইসলাম বাদশা, ৪নং ওয়ার্ডের মেম্বার মোঃ জয়নাল আবেদীন, ৭নং ওয়ার্ডের মেম্বার নবীর হোসেন, ৭,৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের মেম্বার রোয়াজা বেগমসহ ৬ মেম্বারদের যৌথ স্বাক্ষরে বিতর্কিত সচিব মোহাম্মদ রশিদ ও আওয়ামী ফ্যাসিস্ট উপজেলা যুবলীগ নেতা সালামত সিকদারের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি, প্যানেল চেয়ারম্যানের মিথ্যা বিভ্রান্ত তথ্য প্রদানের অভিযোগে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। 

সরকারি বরাদ্দকৃত অর্থ, বাজেট ও বিভিন্ন কার্যক্রম হাতিয়ে নিয়ে লুটপাট, জালিয়াতি করছে। ফ্যাসিস্ট অধ্যাসিত সচিব রশিদ কে দ্রুত প্রত্যহার ও হাইকোর্ট রিট পিটিশনে ইউপি সদস্য স্থগিতাদেশ সেই যুবলীগ নেতা সালামত সিকদার কে গ্রেপ্তারের দাবী জানিয়ে অধিকাংশ মেম্বার ও এলাকার বিভিন্ন শ্রেণী পেশাজীবি উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ও সোনালী ব্যাংক মহেশখালী শাখা ব্যবস্থাপক বরাবর লিখিত অভিযোগ করে। উল্লেখ্য যে, চেয়ারম্যান শেখ কামাল ও অধিকাংশ ইউপি সদস্য ২০২১ সাল থেকে তাকে বদলি করতে বিভিন্ন দপ্তরে চেষ্টা করলে তার বড়ভাই উপজেলা আওয়ামিলীগের সিনিয়র নেতা হওয়ায় পেরে উঠতে পারেনি। 

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, কুতুবজোম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ কামাল গ্রেপ্তার হওয়ার সাথে সাথে মেম্বারদের মধ্যে গ্রুপিং সৃষ্টি করে কালামিয়াস্থ দীর্ঘদিনের অস্থায়ী পরিষদ থেকে প্রয়োজন সকল প্রকার ডকুমেন্টস নিয়ে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট ইউপি সদস্যদের সাথে আঁতাত করে পুরাতন পরিষদ ভবনে চলে যায়। ষড়যন্ত্রের নকশা 

বাস্তবায়ন করতে সালামত সিকদার কে ভুয়া প্যানেল চেয়ারম্যান দাবী বিভিন্ন দিকে প্রচার করতে থাকে। অথচ দীর্ঘ সাড়ে ৩ বছর যাবত চেয়ারম্যান শেখ কামালের অবর্তমানে সরকারি, বেসরকারি প্রত্যেক কার্যক্রমে উপস্থিত ও নাগরিক সেবাসহ কিছু প্যানেল চেয়ারম্যান সেকাব উদ্দিন মাসুম দায়িত্ব পালন করে আসছে। 

 ইউনিয়ন সচিব মোহাম্মদ রশিদ আগত সেবাগ্রহীতাদের সঙ্গে উনার আচরণ খুবই ঔদ্ধত্যপূর্ণ। বহুবার সতর্ক করার পরেও কারও কথাই তিনি শুনেন না। সেবাগ্রহীতাদের বাকবিতণ্ডা করে রুম থেকে বের করে দেয়ার ঘটনাও নিত্যনৈমিত্তিক হয়ে দাঁড়িয়েছে। সচিবের বাজে আচরণের শিকার শুধু গ্রহীতা নয়, পরিষদের নির্বাচিত সদস্যদের সঙ্গেও একই ধরনের খারাপ আচরণ করেন। এটা নিয়ে সদস্যগণ বিব্রত। সরকারি নিয়ম উপেক্ষা করে সাম্প্রতিক সময়ে সচিব মোহাম্মদ রশিদ অত্র ইউনিয়নে সনদের অতিরিক্ত আদায়, ভিডব্লিউবি কর্মসূচির ভাতার ভাতাভোগীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার'সহ সরকারি আদেশ তোয়াক্কা না করার অভিযোগ। এ ছাড়াও ইউনিয়ন পরিষদে আগত সাধারণ জনগণের সকল প্রকার সনদ, প্রত্যয়ন, নাগরিক সনদ, চেয়ারম্যান সনদ, ওয়ারিশ সনদ, মৃত্যু সনদ, জন্মনিবন্ধন থেকে সরকারি নিয়ম-নীতি উপেক্ষা করে সাধারণ জনগণ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায় করে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন প্যানেল চেয়ারম্যান সেকাব উদ্দিন মাসুম। এর আগে তার বিরুদ্ধে মাতারবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদে থাকাকালীন সময়েও নানার অভিযোগ রয়েছে।  পূর্ববর্তী চেয়ারম্যানগণ অভিযোগ করে গিয়েছেন। জন্মনিবন্ধন, মৃত্যু সনদ, ট্রেড লাইসেন্সসহ বিভিন্ন সনদ প্রদানে ৫ শত থেকে ২ হাজার টাকা করে ফি আদায় করেন বলে অভিযোগ করেন মেম্বার শামসুল ইসলাম বাদশা।  এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইউপি সচিব বলেন, উনার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। টাকা পয়সার বিষয়ে জানতে চাইলে উনি বারবারই এড়িয়ে যান। অসদাচরণের বিষয়ে তিনি বলেন, অনেক সময় কাজ তুলে নিতে হলে একটু ধমক দিতে হয়। 

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ হেদায়েত উল্লাহ জানান, আমার কাছে বর্তমান মেম্বার ও মহিলা মেম্বাররা লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। জেলা প্রশাসকের সাথে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান।