কাব্য সৌরভ
গ্রামে করোনার সময়ে একশো কিশোর, তরুণের ইন্টারভিউ করেছিলাম। এটিকে ইন্টারভিউয়ের চেয়ে সহজ আলাপ বলা যায়। তাদের অধিকাংশ ছিলেন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী। কমন একটি প্রশ্ন ছিলো 'সে কী চায়....?'। উত্তরে ৭৭% বলেছে ক্ষমতা (তাদের ভাষায় পাওয়ার) সাথে টাকা। ১৮% বলেছে টাকা আর টাকা, ৫% বলেছে নিরাপদ উন্নত জীবন।
এই ৭৭% দেখেছে তৎকালিন সময়ে রাজনীতির সাথে জড়ালে যেকোনো অপকর্ম করে পার পাওয়া যায়, যে কাউকে চ্যালেঞ্জ করা যায়। এই ক্ষমতার উৎস রাজনীতি বা রাজনৈতিক দল। তাই স্কুল কলেজ পড়ুয়া কিশোর তরুণ'রা ক্ষমতার নেশায় ভালো-খারাপ বিবেচনার চেয়ে ক্ষমতাকে (পাওয়ার) মূখ্য হিশেবে নিয়েছে। তারা হয় রাজনৈতিক দলের অংশ হয়েছে অথবা নিজেরা কিশোর গ্যাং গড়ে তুলেছে। দেশে তাদের বিশাল একটি সংখ্যা বর্তমান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অংশ। তারা ক্ষমতা যেদিকে পাবে সেদিকে যাবে। এরা নিরাপদ রাষ্ট্রের জন্য অনেকটা ঝুঁকিপূর্ণও বলা যায়। কারণ এরা নিজের সিদ্ধান্তকে সবসময় সঠিক মনে করে। রাজনৈতিক দলগুলোর এদের কে ডিল করা কঠিন হবে, রাষ্ট্রেরও। কারণ এদের অধিকাংশ'ই নিজেকে ছাড়া কাউকে মানার পক্ষে না।
যে ১৮% বলেছে টাকা আর টাকা তারা দেখেছে অতীতে টাকা দিয়ে এদেশের আইনসহ সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করা যায়, মানে টাকায় সব সম্ভব। তারা যেভাবে হোক টাকা কামাবে সেটা অসৎ উপায়ে হলেও। এদের অংশ আগামীতে বড় দুর্নীতিবাজ হয়ে উঠবে।
৫% যারা বলেছে নিরাপদ ও উন্নত জীবন চায়, তারা এদেশের সবচেয়ে বড় সংখ্যালঘু। এরা একসময় দেশ ছাড়ে। ৭৭% এর সাথে ১৮ %কে নিয়ন্ত্রণ আর তাদের সংখ্যা কমাতে না পারলে এদেশের ভবিষ্যৎ অন্ধকার।