বিশেষ সংবাদদাতা।। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন তার সাংগঠনিক কার্যক্রম বিস্তৃত ও সংগঠিত করার নিরিখে ‘জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশ সুরক্ষা’ বিষয়ক বিশেষ সেল গঠন করেছে। মহেশখালীর সন্তান শাহরিয়ার মোহাম্মদ ইয়ামিনকে প্রধান করে ১০ সদস্যের এ সেল গঠন করা হয়। ১১ ফেব্রুয়ারি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এর আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সদস্য সচিব আরিফ সোহেল সাক্ষরিত এক পত্র সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সেল থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়- বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন তার কার্যক্রমকে আরও বিস্তৃত ও সংগঠিত করার লক্ষ্যে ‘জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশ সুরক্ষা’ বিষয়ক বিশেষ সেল গঠন করেছে। এই সেল পরিবেশ রক্ষায় সচেতনতা বৃদ্ধি, জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলা এবং পরিবেশবান্ধব নীতিমালা বাস্তবায়নে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
গঠিক সেলে সেল সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন মহেশখালীর সন্তান শাহরিয়ার মোহাম্মদ ইয়ামিন। সেলের অন্য সদস্যরা হলেন কুররাতুল আইন কানিজ, মোঃ জহির রায়হান, মো. রিফাত হোসেন বাধন, ওমর ফারুক শ্রাবণ, জিমরান মোঃ সায়েক, আবু হুরায়রা সিয়াম, সাজ্জাদ হোসেন শাওন, আরফি আজরিন ও মেহেদী হাসান।
এই সেলের বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো- পরিবেশ নিয়ে দীর্ঘদিন কাজ করা এবং পরিবেশ বিজ্ঞান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ভৌগোলিক বিষয়ক একাডেমিক অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সদস্যদের অন্তর্ভুক্তি।
সেলে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ জন শিক্ষার্থী রয়েছেন এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন। বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য যে, সেলের এক সদস্য সম্প্রতি আজারবাইজানে অনুষ্ঠিত COP-29-এ বাংলাদেশ প্রতিনিধিত্ব করেছেন, যা আন্তর্জাতিক জলবায়ু ইস্যুতে সেলের কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করবে।
সেল গঠনের উদ্দেশ্যের মধ্যে রয়েছে- জলবায়ু পরিবর্তন এবং পরিবেশ সুরক্ষার বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধি, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় নীতি সুপারিশ করা, পরিবেশবান্ধব আন্দোলন ও ক্যাম্পেইন পরিচালনা এবং আন্তর্জাতিক পরিবেশগত আলোচনায় বাংলাদেশি তরুণদের যুক্ত করা।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এই সেলের মাধ্যমে তরুণ প্রজন্মকে পরিবেশ রক্ষার আন্দোলনে আরও সক্রিয় ভূমিকা পালনের জন্য আহ্বান জানানো হয়।
শাহরিয়ার মোহাম্মদ ইয়ামিন মহেশখালী পৌরসভার সিকদার পাড়ার বাসিন্দা আব্দুল গফুর এর সন্তান। ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মি. ইয়ামিন শুরু থেকেই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলছেন।