Advertisement


মহেশখালীতে নতুন বাজার স্কুল ভবন যে কোনো মুহূর্তে ধসে পড়ার আশঙ্কা


নিজস্ব প্রতিবেদক।। মহেশখালীর নতুন বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় -রানা প্লাজার মত যে কোন মুহূর্তে ধসে পড়ার আশঙ্কার মধ্যে রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এ নিয়ে প্রতিকার চেয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিখিত আবেদন করা হয়েছে। 

জানা গেছে- ত্রুটিপূর্ণ নির্মাণ কাজের কারণে ইতোমধ্যে স্কুল ভবনের বিভিন্ন স্থানে ফাটল দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় প্রধান সড়ক দিয়ে ভারী যানবাহন চলাচল করলে ভবনের কাঠামো রীতিমতো কেঁপে ওঠে। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন স্কুলটির শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। স্থানীয় সচেতন মহলের দাবি- এ অবস্থা চলতে থাকলে রানা প্লাজার মতো যে কোন মুহূর্তে বিদ্যালয় ভবনটি ভেঙ্গে বা ধসে পড়ে কোমলমতি ছাত্রছাত্রীদের প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে। 

জানা গেছে- বিদ্যালয়টি ১৯৬৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি বড় মহেশখালী ইউনিয়নের প্রাণ কেন্দ্র কুলাল পাড়া এলাকায় এবং প্রধান সড়কের পাশে অবস্থিত একটি ঐতিহ্যবাহী বিদ্যালয়। বিদ্যালয়ের সামনে রয়েছে একটি বিশাল খেলার মাঠ। আন্তঃপ্রাথমিক বিদ্যালয় ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট (বালক-বালিকা) এ মাঠেই অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে।

স্কুলটির পুরাতন ভবন ভেঙ্গে ফেলার পর ২০০৪-২০০৫ অর্থ বছরে পিডিবি-২ এর অধীনে দুই কক্ষ বিশিষ্ট একটি ভবন নির্মাণ করা হয়। পরবর্তীতে ২০১৩ সালে ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ করে তৃতীয় তলায় আরো ৩টি কক্ষ নির্মাণ করা হয়। সে সময়ও বরাদ্দের অর্থ লোপাটের মাধ্যমে লোহার বদলে অনেকক্ষেত্রে বাঁশ ব্যবহার করে যেনতেন ভাবে এ ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে বলে বেশ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছিল, তখন এ নিয়ে সংবাদমাধ্যম খবর বেরোনোর পর নামমাত্র তদন্ত হলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি বলে তথ্য রয়েছে। সে দুর্বল কাঠামোতে ভবন নির্মাণের কারণে আজ ভবনটির এ দশা বলে মনে করছেন স্থানীয় সচেতন লোকজন।

সূত্র জানিয়েছে- ভবনে বর্তমানে অফিস কক্ষসহ মোট কক্ষ আছে মাত্র ৫টি। বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে প্রায় তিন শতাধিক। শিক্ষক আছেন ৮ জন ও কর্মচারী ১ জন। এক শিফট বিশিষ্ট স্কুল হওয়ায় প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্রছাত্রীদের লেখাপড়া চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। এ ব্যাপারে চলতি বছরের গত ৩ মার্চ উপজেলা শিক্ষা অফিসার বরাবরে একটি লিখিত আবেদনও করা হয়েছে বলে বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে। 

এদিকে ভবনের এ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থার বিষয়টি শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের কাছে জানাজানি হতে থাকলে তাঁরাও উদ্বিগ্ন হয়ে হয়ে ওঠেছেন। এ অবস্থায় দ্রুত বিদ্যালয় ভবনটির বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন সচেতন মহল।