মহেশখালী-চৌফলন্ডী নৌপথে পারাপারের জন্য মহেশখালী ঘাট ৪৯ লাখ টাকায় এক বছরের জন্য ইজারা দিয়েছেন ইউএনও। অপরদিকে সমপরিমাণ টাকায় ইজারা হবে চৌফলদন্ডী ঘাটও। দুই ঘাট মিলে ইজারা মূল্য দাড়ায় প্রায় ১ কোটি টাকা। এখানে ইজারাদাররা কমপক্ষে লাভ করবে ৫০ লাখ টাকা। ৩৬৫ দিনে মহেশখালী দ্বীপের মানুষ থেকে মহেশখালী-চৌফলদন্ডী পার হতেই দেড় কোটি টাকা লুট করে নেয়া হবে।
লুট বলছি কেন?
মহেশখালী-কক্সবাজার নৌপথের দুরত্ব প্রায় ৯ কিলোমিটার। যাত্রী প্রতি গামবোট ভাড়া ৩৫ টাকা। সেই অনুপাতে মহেশখালী-চৌফলদন্ডী নৌপথের দুরত্ব প্রায় ৪ কিলো, ভাড়া হওয়ার কথা ছিল ১৭.৫ টাকা। কিন্তু প্রতি যাত্রী থেকে গামবোট ভাড়া নিচ্ছে ৮০ টাকা। অর্থাৎ মহেশখালীর একজন নাগরিক থেকেই প্রতিবার যাতায়াতে লুট করা হচ্ছে ৬২.৫ টাকা। উল্লেখ্য যে, এখানে ঘাট ইজারাদাররাই বোট চালান। অন্যকেউ বোট নামাতে পারে না।
বাকি হিসাব আপনারাই করুন। অথচ প্রশাসন থেকে বলা হয়েছিল মহেশখালী ঘাট ইজারামুক্ত। আমি হলফ করে বলতে পারি, এসব লুটের বৈধতা দিচ্ছে প্রশাসন।
এসবের প্রতিবাদ কেউ করবেন কি? এই লুটপাট বন্ধে আপনার বা আপনাদের ভূমিকা কি?
লেখা: এস. এম. রুবেল, সাংবাদিক ও অনলাইন এক্টিভিস্ট।