স্থানীয়দের পরিবেশবাদী সংগঠনের নেতা আ ন ম হাসান বলেন- ঝাউবনের গভীরে একাধিক কটেজ নির্মাণ করা হচ্ছে বিগত কয়েক বছর ধরে যা কোনো পূর্বানুমতি ছাড়াই গড়ে তোলা হয়েছে। দ্বীপের পশ্চিম ও দক্ষিণ অংশে কটেজ তৈরির জন্য বেপরোয়া ঝাউগাছ কাটা হচ্ছে, যার ফলে প্রাকৃতিক ঝুঁকি বেড়েই যাচ্ছে। ঝাউগাছ মূলত ভূমিক্ষয় রোধ ও ঘূর্ণিঝড় থেকে দ্বীপ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
তিনি আরো বলেন- এসব কটেজ প্রকল্প দ্বীপের প্রতিবেশ ব্যবস্থাকে হুমকির মুখে ফেলছে। ইতোমধ্যে বহু পাখি ও বন্যপ্রাণী তাদের আবাসস্থল হারাচ্ছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
অন্যদিকে দ্বীপের পূর্বাঞ্চলে দেখা গেছে মহিষ চারণের প্রবণতা। এদের জন্য পরিষ্কার করা হচ্ছে বন ও ঘাসের জমি। এই ‘মহিষের খামার’ ধীরে ধীরে দ্বীপের ভেতরের মাটি ক্ষয় করছে এবং লবণাক্ততা বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা কৃষিকাজ ও উদ্ভিদজগতের জন্য মারাত্মক হুমকি বলে মনে করছেন পরিবেশ সচেতন ব্যক্তিরা।
দ্বীপের বাসিন্দাদের একাংশ বলছেন- জীবিকার জন্য পর্যটন ও পশুপালন প্রয়োজন, তবে এটি হতে হবে পরিকল্পিতভাবে। তারা এ নিয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন যাতে অপ্রয়োজনীয় গাছ নিধন ও ভূমি ধ্বংস বন্ধ হয়।
মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হেদায়েত উল্ল্যহ্ বলেন- বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে, ইতোমধ্যে তা দেখার জন্য বন বিভাগকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তদন্তের মাধ্যমে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত সোনাদিয়া দ্বীপ শুধু একটি পর্যটনকেন্দ্র নয়, এটি একটি জীববৈচিত্র্যপূর্ণ পরিবেশগত সম্পদ। পরিকল্পনাহীন উন্নয়ন ও অনিয়ন্ত্রিত কার্যক্রম অব্যাহত থাকলে দ্বীপের অস্তিত্ব হুমকিতে পড়বে। এখনই সময়, পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষায় কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার।- বক্তব্য ওয়াকিবহাল মহলের।